Contents

আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স কি

লাভজনক ব্যবসাগুলোর মধ্যে আমদানি রপ্তানি ব্যবসা অন্যতম। বাংলাদেশের বাইরে থেকে কোন দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে এসে দেশে বাজারজাত করতে চাইলে ইম্পোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা আমদানী সদন পত্র থাকা আবশ্যক অন্যথায় কোন পণ্য দেশে আমদানী করতে পারবেন না। এটিকে আইআরসি বা ইমপোর্ট লাইসেন্স ও বলা হয়।  অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে কোন দ্রব্য সামগ্রী রপ্তানী করতে চাইলে এক্সপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা রপ্তানী সদন পত্র থাকা আবশ্যক। এটিকে ইআরসি বা এক্সপোর্ট লাইসেন্স ও বলা হয়।  এক্সপোর্ট লাইসেন্সের রপ্তানির কোন প্রকার লিমিট থাকে না। এক্সপোর্ট লাইসেন্স দিয়ে সারা বছর যে কোন পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করা যাবে। ইম্পোর্ট লাইসেন্সের আমদানীর লিমিট থাকে । বছরের যে পরিমাণ আমদানী করবেন সেই পরিমাণ লাইসেন্সের সীমা নিতে হবে। আমদানী এবং রপ্তানী লাইসেন্স দুইটা আলাদা ভাবে নিতে হয়, তবে প্রসেস একই রকম। চলুন প্রথমেই জেনে নিই আমদানী বা রপ্তানী লাইসেন্স কিভাবে করবেন।

আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতিঃ 

আমদানি রপ্তানি রেজিস্ট্রেশন এর পদ্ধতি নিম্নরূপঃ-

অনলাইনে আবেদন করাঃ আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন এর জন্যপ্রথমে আপনাকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য এই লিংকে গিয়ে প্রথমে আপনার নামে একটি আইডি খুলতে হবে। আইডি খোলার জন্য আপনার নাম , মোবাইল নাম্বার, মেইল নাম্বার সাথে আপনার আইডি লগিং এর জন্য পাসওয়ার্ড দিতে হবে । এর পর ভেরিফিকেশন এর পর আপনার নামে একটি ইউজার আইডি তৈরী হবে ইউজার আইডিতে লগিং করে আপনি যদি আমদানী লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন চান তাহলে IRC ফরম এর সকল তথ্য পুরুন করতে হবে। আর যদি রপ্তানি লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন চান তাহলে ERC ফরম এর সকল তথ্য পুরুন করতে হবে। সকল তথ্য যথাযথ ভাবে পূরনের পর সকল ডকুমেন্ট পিডিএফ করে এটাষ্ট ফাইলে গিয়ে সাবমিট করতে হবে। সকল ডকুমেন্ট সাবমিট পর অনলাইনে পেমেন্ট অপশন গিয়ে অনলাইন ব্যাংকিং অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন ফি পেমেন্ট করতে পারবেন। অনলাইন পেমেন্টপরিশোধের পর ডাউনলোড কপি সহ সকল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে।

আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স এর জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিম্নরুপঃ

জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ছবিঃ

আবেদনকারী সহ কোম্পানীর সকল পরিচালকদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজে রঙ্গিন ছবি ।

পাসপোর্ট এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ

  • কোম্পানীতে বিদেশী কোন পরিচালক থাকলে তাদের পাসপোর্ট এবং বিডা কর্তৃক ওয়ার্ক পারমিট
  • ভিসা এর ফটোকপি লাগবে। কোম্পানীতে বিদেশী কোন পরিচালক বাংলাদেশে অবস্থান না করলে অথবা বিডা কর্তৃক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা না থাকলে তাহলে তারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে না এই মর্মে একটি আন্ডারটেকিং দিতে হবে।

ট্রেড লাইসেন্সঃ

যে কোন ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স হচ্ছে ব্যবসার অনুমতিপত্র। আবেদনের সময় অবশ্যয়

ব্যাংক সলভেন্সিঃ

ট্রেড লাইসেন্স এর ঠিকানায় ব্যাংক সলভেন্সি নিতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স করার পর ব্যবসার নামে একটি ব্যংক একাউন্ট খুলে নিন। এখানে লক্ষণীয় যে, আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন। কোন মতেই ভিন্ন নাম দিবেন না। কিছুদিন লেনদেন করার পর ব্যাংককে বলুন আপনার ব্যবসার নামে প্রত্যায়ন পত্র দিতে। অর্থাৎ ব্যাংককে বলবেন আপনাকে একটি ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট দিতে।

টিন সার্টিফেকেটঃ

বর্তমানে অনলাইনে সহজেই ইটিন বা টিন সার্টিফিকেট করা যায়। এরজন্য কোন ফি প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ আপনি নিজেই অনলাইনে বিনামূল্যেTIN সার্টিফিকেট করতে পারেন।

স্কীকৃত ট্রেড আ্যসোসিয়েশন থেকে বৈধ মেম্বারশিপঃ

মম্বারশীপ সার্টিফিকেট অর্থাৎ আমদানি বা রপ্তানি ব্যবসা করার ক্ষেত্রে  আপনাকে যে কোন একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য হতে হবে এবং সংঘ থেকে সদস্য সনদ গ্রহণ করতে হবে।

ভ্যাট সার্টিফেকেটঃ

বর্তমান প্রতিটি উৎপাদন কিংবা সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে ভ্যাট প্রদান করতে হয়। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোন উৎপাদনশীল কিংবা সার্ভিস প্রদান করিলে ভ্যাট সার্টিফিকেট অবশ্যই প্রয়োজন হবে। এখন অবশ্য অনলাইনে ভ্যাট রেজিট্রেশন করতে পারেন। নিজে নিজে করতে না পারলে এক্সপার্ট কারো সাহায্য নিয়ে সহজেই অনলাইনে ভ্যাট সার্টিফিকেটকরতে পারেন।

আন্ডারটেকিংঃ

কোম্পানীতে বিদেশী কোন পরিচালক বাংলাদেশে অবস্থান না করলে অথবা বিডা কর্তৃক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা না থাকলে তাহলে তারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে না এই মর্মে একটি আন্ডারটেকিং দিতে হবে।

জয়েন্ট ভেঞ্চার এগ্রিমেন্টঃ

কোম্পানীতে সকল পরিচালকদের মধ্যে ব্যাবসায়িক বা জয়েন্ট ভেঞ্চার এগ্রিমেন্ট থাকতে হবে। আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স এর আবেদনের সময় জয়েন্ট ভেঞ্চার এগ্রিমেন্ট এর ফটোকপি সাবমিট করতে হবে ।

লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে আরো যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবেঃ

লিমিটেড কোম্পানীর আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করতে হলে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে। আরো প্রয়োজন হবে জয়েন্ট স্টক কোম্পানী কর্তৃক অনুমদিত মেমোরেন্ডাম,
আর্টিকেল, ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট এবং ফরম- ১২ ইত্যাদি।

আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স পেতে কত সময় লাগবেঃ

আপনার আবেদন যথাযথ ভাবে করা হলে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স পেতে সর্বচ্চ ৭ থেকে ১০ দিন এর মত সময় লাগবে। আর যদি যথাযথ ভাবে আবেদন করা না হয় এবং কোন ডকুমেন্ট কম থাকে
তাহলে আপনার কাছে সে সকল ডকুমেন্ট চাওয়া হবে । সে ক্ষেত্রে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স পেতে অনেক সময় লাগতে পারে।

আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স এর ফিঃ

আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স এর ফি এর মাঝে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আবার আমদানির ফি এর ক্ষেত্রে আপনি ১ বছরে কত পরিমান মূল্যর পণ্য আমদানি করবেন তার উপর নির্ভর করবে আপনার
আমদানি লাইসেন্স এর ফি কত হবে । নিম্নে আমদানি লাইসেন্স এর ফি পরিমান দেওয়া হল।

আমদানি লাইসেন্স এর ফিঃ

বাণিজ্যিক ও শিল্প আই আর সি এর ফি ( প্রতি বছর সরকার এর ফি পরিবর্তন করে থাকেন) ক্রমিক আমদানি সীমা নিবন্ধন ফি

ক্রমিক আমদানি সীমা নিবন্ধন ফি
৫,০০,০০০/- পর্যন্ত ৫,০০০/-
৫,০০,০০১/- থেকে ২৫,০০,০০০/- পর্যন্ত ১০,০০০/-
২৫,০০,০০১/- থেকে ৫০,০০,০০০/- পর্যন্ত ২৪,০০০/-
৫০,০০,০০১/- থেকে ১,০০,০০,০০০/- পর্যন্ত ৪০,০০০/-
১,০০,০০,০০১/- থেকে ৫,০০,০০,০০০/- পর্যন্ত ৫০,০০০/-
৫,০০,০০,০০১/- থেকে ২০,০০,০০,০০০/- পর্যন্ত  ৬০,০০০/-
২০,০০,০০,০০১/- থেকে ৫০,০০,০০,০০০/- পর্যন্ত  ৭০,০০০/-
৫০,০০,০০,০০১/- থেকে ১০০,০০,০০,০০০/- পর্যন্ত ৮০,০০০/-

রপ্তানি নিবন্ধন এর নিবন্ধন ফিঃ

ক্রমিক বিভিন্ন ধরনের রপ্তানি সনদ নিবন্ধন ফি

ক্রমিক বিভিন্ন ধরনের রপ্তানি সনদ নিবন্ধন ফি
রপ্তানি নিবন্ধন সনদ( ই আর সি)  ১০,০০০/-
রপ্তানি নিবন্ধন সনদ( ইনভেন্টিং সার্ভিস)  ৫০,০০০/-

সিএলপি কর্তৃক আইনী সেবা:

সিএলপি একটি সনামধন্য ‘ল’ চেম্বার যেখানে ব্যারিস্টারস , আইনজীবীর মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স সহ অন্য সকল বিষয়ে আইনগত সহায়তা, পরামর্শ প্রদান করে থাকে। কোন
প্রশ্ন বা আইনী সহায়তার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ-ই-মেইল:
info@counselslaw.com ফোন: +8801700920980 +8801947470606, ঠিকানা: জামিলা ভিলা, ফ্ল্যাটঃ সি-২, বাসা-৪/এ/১ (তৃতীয় তল), রোড-০২, গুলশান ১, ঢাকা-১২১২।

Call Now

error: Content is protected !!